ডেক্স নিউজ:
গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সন হত্যার বিচার দাবি করা হয়েছে।
গতকাল সকালে হাদিরা ইউনিয়নের আজগরা নিহতের নিজ বাড়ীতে প্রথম মত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও স্বরণসভায় এ দাবি করা হয়।
নিহতের ছোট ভাই প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার বলেন, ২০২০ সালের ঈদুল আযহার আগের রাতে সন্ত্রাসীরা আমার বড় ভাইকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ধনবাড়ী থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশ মামলার আসামী মৃত শের আলীর ছেলে সুমন, বাদশা মিয়ার ছেলে সুজন, আব্দুল আজিজের ছেলে ফারুক, জোয়াহের আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান, ওয়াজেদ আলীর ছেলে মজনু মিয়া ও আজহার আলীর ছেলে আব্দুল আজীজকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। এদিকে মামলার অন্যতম আসামী আব্দুল আজিজ সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে না নিলে নিহতের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপির শাসনকালে ধনবাড়ীর পানকাতা গ্রামে ১৪৪ ধারা ভঙ্গে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছিল তার নেপথ্যের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এই নিক্সন তালুকদার। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোটের বিপক্ষে কাজ করে আওয়ামীলীগ দলকে সুসংগঠিত করার জন্য নির্বাচনের রাতে সন্ত্রাসীরা তার বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। টাকা-পয়সা, সোনা-দানা, গরু-বাছুর লুট করে নেয়। তখন তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে মধুপুর উপজেলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সন হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। জামাত-বিএনপি জোট সরকারের সময় তাঁকে মারতে না পারলেও আওয়ামী লীগের শাসনামলই তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তারা হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।